কাজ শুরুর তিন বছর পর খুলনার ভৈরব সেতু নির্মাণে নকশা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান । তিনি বলেছেন, ভৈরব সেতুর বর্তমান নকশায় কম গতির যানবাহন চলাচলে করলে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ব্রিজে পিলার স্থাপনে নদীর ন্যাবতা সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সড়ক বিভাগ বলছে তারা স্টিল স্ট্রাকচারে যাবে, না কি কংক্রিট স্ট্রাকচারে যাবে; সেই বিষয়টি এখনও বিবেচনায় আছে। স্টিল ব্রিজে গেলে নদীর নাব্যতা বেশি দিন রাখা সম্ভব হবে। স্টিল ও কংক্রিট স্ট্রাকচারে খরচের তেমন কোন পার্থক্য নেই। এছাড়া অতিরিক্ত সময় বা অতিরিক্ত ব্যয় কিছু হবে না। সামান্য হেরফের হতে পারে।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ভৈরব সেতুর দিঘলিয়া প্রান্ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের প্রাণের ব্যথাটা আপনারা দূর করেন। আমাদের প্রাণের একটা দুঃখ আছে, হবে হবে দেখি, ব্রিজটা হচ্ছে না। কবে আমরা ব্রিজের উপর দিয়ে যাবো?
তিনি আরো বলেন, ব্রিজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে জিজ্ঞেস করলাম আপনারা নৈতিক একটা প্রতিশ্রুতি দেন, কবে নাগাদ ব্রিজের কাজ শেষ করতে পারবেন? জবাবে তারা বললেন ১৪ মাস কি ১৬ মাস সময় লাগতে পারে। ‘ রোডস এন্ড হাইওয়ের কথা শুনে মনে হলো- বিবেচনা প্রথম থেকে যদি করতো।’