রক্তের ঋন : ‘মেধার মুক্তি’ আন্দোলনকারীদের হত্যা-নির্যাতনকারী ও হুকুমদাতাদের ক্ষমা নাই, ক্ষমা নাই, ক্ষমা নাই।


‘মেধার মুক্তি’ এর আন্দোলন : সরকারী নিপীড়ন
মোঃ অহিদুজ্জামান (রুমু) : রাজনৈতিক এলিট ও
বুর্জোয়ার  শিক্ষা ও সরকারী  চাকুরী কোটা বিরোধী এই আন্দোলন যেন সামন্ত প্রথার বিরুদ্ধে  হাজী মোহাম্মদ দানেশের  তেভাগা আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি।সাধারনদের মেধায় কেউ আর ভাগ বসাবে না, ইনশাল্লাহ।

১৯৪৬ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়ে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত এই তেভাগা আন্দেলন চলে। বর্গা চাষীরা এতে অংশ নেয়। মোট উৎপন্ন ফসলের তিন ভাগের দুইভাগ পাবে চাষী, এক ভাগ জমির মালিক- এই দাবি থেকেই তেভাগা আন্দোলনের সূত্রপাত। আগে বর্গা প্রথায় জমির সমস্ত ফসল মালিকের গোলায় উঠত এবং ভূমিহীন কৃষক বা বর্গা চাষীর জন্য উৎপন্ন ফসলের অর্ধেকও কম বরাদ্দ থাকত। যদিও ফসল ফলানোর জন্য বীজ ও শ্রম দু’টোই কৃষক দিত।
তৎকালীন পূর্ববাংলা এবং পশ্চিমবঙ্গে এ আন্দোলন সংগঠিত হয়।তৎকালীন বৃহত্তর দিনাজপুর ও রংপুর জেলায় এই আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছিল।এই আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে আজ বাংলার ভূমিহীন কৃষক দু’মুঠো ডাল-ভাত খেয়ে বেচে আছে।
২০২৪ এর এই শিক্ষা ও সরকারী চাকুরীতে বৈষম্য কোটা বিরোধী আন্দোলন আজ  বিন্দু বিন্দু করে সিন্ধুতে পৌছেছে। রক্তের টানে, রক্তের ঋনে বাংলাদেশের এই আন্দোলন আজ বিশ্বব্যাপী। সবার রক্তে আগুন লেগেছে।
নতুন সূর্য  উদয়ের অপেক্ষায়। সাধারনের মেধা মুক্ত হবে, নতুন বাংলাদেশ হবে। ইনশাল্লাহ।  সামান্য পথ চলা বাকী।

এই যৌক্তিক দাবীতে আন্দোলনকারী ছাত্র, শিক্ষক, সাধারন মানুষসহ বিভিন্ন পেশাজীবিদের  হত্যা-নির্যাতনকারী ও হুকুমদাতাদের ক্ষমা নাই, ক্ষমা নাই, ক্ষমা নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *