লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে এক অটোরিকশা চালকের দুই পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সদস্য সোহেল রানার বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে রিকশাচালকেরা।
আহত রিকশাচালক মো ফজলু (৪৫) দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার বনসাপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। আজ শুক্রবার (১৭ মে) পুলিশ সদস্য সোহেল রানা পাকিজা এলাকায় দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় তাকে মারধর করেন।
ভুক্তভোগী রিকশাচালক ফজলু বলেন, আমি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেন দিয়ে যাওয়ার সময় পাকিজার সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেলে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য সোহেলসহ দুইজন আমাকে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে তারা গেন্ডা বাস স্ট্যান্ডের কাছে রিকশা থামাতে বললে আমি সাইড করে থামাতে চাই। এ সময় সোহেল রানা মোটরসাইকেল থেকে নেমেই একটি লোহার পাইপ দিয়ে প্রথমে আমার বাম পায়ে আঘাত করেন। আমি হাত দিয়ে ঠেকাতে চাইলে তিনি লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ডান পা ভেঙে দেন। এরপর আমি রাস্তায় পড়ে যাই, আর উঠে দাঁড়াতে পারি নাই।
অটোচালক ফজলু আরও বলেন, আমাকে পেটান দেখে স্থানীয়রা এসে ওই পুলিশ সদস্যকে ঘিরে ধরে। এসময় তিনি ভুল স্বীকার করে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানোর কথা বললে একটি রিকশায় তুলে দেন।
এদিকে রিকশাচালককে মারধরের ঘটনা জানতে পেয়ে অন্যান্য রিকশাচালকরা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিচার দাবি করে সাভার প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিকশাচালকরা অভিযোগ করেন, প্রতি সপ্তাহে সোহেল রানা ও মোস্তফা রিকশা আটকে দুই হাজার করে টাকা নেয়। তাদের কথামতো যারা টাকা না দেয় শুধুমাত্র রাস্তায় তাদের রিকশা আটক করা হয়। তাই শত শত অটোরিকশা তাদের সামনে দিয়ে চলাচল করলেও তারা বেছে বেছে যারা টাকা দেয় না তাদের রিকশা ধরে জরিমানা এবং ডাম্পিং করেন।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য সোহেল রানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক পুলিশের অ্যাডমিন হোসেন শহীদ চৌধুরী এবং ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপাার (ক্রাইম এন্ড অবস) আব্দুল্লাহিল কাফির সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেননি।