মোঃ অহিদুজ্জামান : লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে না পেয়ে কোরবানির পশুর চামড়াবাহী একটি ট্রাক ৩ ঘন্টা ধরে আটকে রাখলেন আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমদ। সারাদিন সাতকানিয়ার একটি মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য সংগৃহীত ১২৫টি চামড়া নিয়ে আড়তে যাওয়ার সময় কালা বিবির দীঘি এলাকায় গাড়িটি আটকে রাখা হয়।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ সাতকানিয়ার দক্ষিণ চরতি মজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি একটি ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসার মিসকিন ফান্ডে বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২৫ পিস কোরবানি গরুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়। রাত ১২ টার দিকে একটি ট্রাকে করে চামড়াগুলো চট্টগ্রাম নগরীর আতুরার ডিপো আড়তে নেয়ার পথে আনোয়ারা থানার ওসির নির্দেশে এসআই নাঈমের নেতৃত্বে একটি টহল টিম গাড়িটি আটকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
টাকা না পেয়ে গাড়িটি থানায় নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে নানাভাবে অনুরোধের পর ভোর রাতে ওসি গাড়িটি ছাড়তে রাজী হলে ততক্ষণে চামড়ায় পচন ধরে। ভোরে আড়তে পৌঁচলে চামড়া মান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রতি চামড়া মাত্র ৫০ টাকায় বিক্রি করতে হয়।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ড. মোহাম্মদ আলী চৌধুরী আজাদীকে বলেন, চামড়া দেশের সম্পদ। আনোয়ারা পুলিশ চামড়ার গাড়ি নিয়ে যা করল তা দেশের ক্ষতি। এতে দেশ ও মাদ্রাসাটি ক্ষতির মুখে পড়ল। ঘটনাটি জানাজানির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে আর বিভিন্ন মহল থেকে এ ঘটনার নিন্দার ঝড় ওঠে।
গাড়ি আটকের বিষয়ে আনোয়ারা থানার এসআই হোসেন ইবনে নাঈম ভুঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের একটি নির্দেশনা ছিল। এভাবে যাতে মহাসড়কে চামড়ার গাড়ি চলাচল না করে। সে জন্য আমরা গাড়িটি আটক করি। পরে জানতে পারি এটি একটি মাদ্রাসার চামড়ার গাড়ি।
সে কারনে আমরা পরে গাড়িটি ছেড়ে দিই। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা অস্বীকার করেন।
অভিযোগের বিষয়ে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, রাতে আমরা একটা চামড়ার গাড়ি ধরেছিলাম। পরে অবশ্য ছেড়ে দিছি।