কুষ্টিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা, অপহরণের চেষ্টা


কুষ্টিয়া সদরে আবু আহাদ আল মামুন নামে এক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুধু হামলাই নয়, তাকে অপহরণেরও চেষ্টা করা হয়। সোমবার (৬ মে) নির্বাচনি প্রচারণা শেষ দিনে রাত সাড়ে ৮টায় কুষ্টিয়া শহরের বড় স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় হামলার শিকার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহাদ কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তারও করেছে। তবে এই হামলার পেছনে সরাসরি জড়িত আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান আতা। তিনিই হামলার নির্দেশদাতা বলে জানান মামুন। তিনি বর্তমানে কুষ্টিয়ার আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এ বিষয়ে আবু আহাদ আল মামুন জানান, যেহেতু নির্বাচনি প্রচারণার শেষ দিন ছিল সোমবার। তাই শেষ মুহূর্তে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছিলাম। এমন সময় বেশ কয়েকজন আমার ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় এবং আমাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারা বলে, কার বিরুদ্ধে ভোট করছিস জানিস? এর আগেও ভোট থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আতাউর রহমান আতার লোক জেলা পরিষদ সদস্য জহুরুল ও ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান তাকে হত্যার হুমকি দেয়। ঢাকার বাসায় গিয়েও তাকে খোঁজাখুঁজি করা হয়। এছাড়াও কুষ্টিয়া শহরে নির্বাচনি প্রচার মাইক ভাঙচুর ও প্রচারকারীকে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ করেন আল মামুন।

এ বিষয়ে আতাউর রহমান আতার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কেউ ভিত্তিহীন কথা বললে এতে আমার কিছুই করার নাই। আমি একজন প্রার্থী ও রানিং উপজেলা চেয়ারম্যান আমিই তাকে চিনি না। কি কারণে আমার লোকজন তাকে মারবে? প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকলে হয়তো মেরে জনসমর্থন বাড়াতে চায়। কুষ্টিয়াতে তার জনসমর্থন আছে বলে আমার তো মনে হয় না। মারধরের বিষয়টি ভিত্তিহীন।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ভৈরব সেতুর দিঘলিয়া প্রান্ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের প্রাণের ব্যথাটা আপনারা দূর করেন। আমাদের প্রাণের একটা দুঃখ আছে, হবে হবে দেখি, ব্রিজটা হচ্ছে না। কবে আমরা ব্রিজের উপর দিয়ে যাবো?

তিনি আরো বলেন, ব্রিজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে জিজ্ঞেস করলাম আপনারা নৈতিক একটা প্রতিশ্রুতি দেন, কবে নাগাদ ব্রিজের কাজ শেষ করতে পারবেন? জবাবে তারা বললেন ১৪ মাস কি ১৬ মাস সময় লাগতে পারে। ‘ রোডস এন্ড হাইওয়ের কথা শুনে মনে হলো- বিবেচনা প্রথম থেকে যদি করতো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *