মোঃ অহিদুজ্জামান : ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মৃত্যুমিছিল! উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ভিড়ের চাপে কমপক্ষে ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১০০ জনের বেশি ভক্ত। অনুষ্ঠান শেষ হতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। পদপিষ্ট হন অসংখ্য মানুষ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ভিড়ের চাপে প্রাণ হারিয়েছেন মহিলা ও শিশুরাও।
উল্লেখ থাকে যে ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর যে হাথরাসের এক দলিত কিশোরীর গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। মঙ্গলবার সেই হাথরাসের রতিভানপুরে শিবপুজোর সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান ছিল। যেখানে যোগ দিয়েছিলেন শয়ে শয়ে ভক্ত। অনুষ্ঠান শেষে হঠাৎই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। হুড়োহুড়ির মধ্যে অনুষ্ঠানস্থল থেকে হওয়ার চেষ্টা করেন অনেকে। তখনই ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট বহু মানুষ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮৭ জনের।
যদিও জেলাশাসক আশিস কুমার জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এখনও পর্যন্ত ৫০ থেকে ৬০ জনের মৃত্যুর খবর রয়েছে। মৃতদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুরাও রয়েছেন। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা প্রশাসনের। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হাথরাসের মুঘলাগড়ি গ্রামে এক স্থানীয় ধর্মগুরুর ‘সৎসঙ্গ’ বা ভক্ত সমাবেশে দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঠিক কীভাবে এমনটা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে উত্তরপ্রদেশের সরকারের দুই মন্ত্রী ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছেন।
হাথরসের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে একটি তদন্ত কমিটি ঘঠনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন আগ্রা কমিশনারেটের ডিজিপি।
হাথরাসর সৎসঙ্গে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকবার্তা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “এইমাত্র পদপিষ্ট হওয়ার দুঃখজনক খবর পেলাম, কমপক্ষে ২৭ জন ভক্ত (২৩ জন মহিলা, ৩ জন শিশু) প্রাণ হারিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে। আমি হৃদয় থেকে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের পাশে রয়েছি। শোকাহত স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা।”
