আগামী জুলাই চিন সফরের আগেই ফের দিল্লির দরবারে হাসিনা, ২২ জুন বিশেষ বৈঠক মোদির সঙ্গে

মোঃ অহিদুজ্জামান : ফের  ভারত সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি মাসের শেষে দিল্লিতে পা রাখবেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসবেন মুজিবকন্যা। গত ৯ জুন, রেকর্ড গড়ে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিয়েছেন মোদি। দিল্লিতে তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসিনা। জানা গিয়েছে, আগামিদিনে দুদেশের সম্পর্ককে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে ও বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করতে এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আগামী জুলাই মাসে হাসিনার চিন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে চিনের প্রভাব বিস্তার করা নিয়েও আলোচনা করতে পারেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

ঢাকা ও দিল্লির কুটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে আগামী ২১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে যাবেন। পরদিন দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে মোদির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি। গত দেড় দশকের ধারাবাহিকতায় দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হবে দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকে। সূত্রের খবর, হাসিনার এবারের সফরটি তুলনামূলক সংক্ষিপ্ত হবে। দুদিনের জন্য তিনি দিল্লি যাবেন। কারণ আগামি ২৩ জুন শাসকদল আওয়ামি লিগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আওয়ামি লিগের সভাপতি হিসাবে হাসিনার ওই দিন ঢাকায় থাকার কথা।


সাম্প্রতিক ইতিহাসে বাংলাদেশের কোনও প্রধানমন্ত্রীর এত কম সময়ের মধ্যে দুই দফায় ভারত সফরের নজির নেই। কিন্তু এই সফর যে হবে, তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছিল। তবে এবারের সফরে নতুন কোনও সিদ্ধান্তের ঘোষণা, চুক্তি ও সমঝোতা সই, কোনও প্রকল্প উদ্বোধন, তেমন কিছু নাও হতে পারে। মূলত দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য, সংযুক্তি, জ্বালানি, নতুন প্রযুক্তি-সহ নানা বিষয়ে ২২ জুনের বৈঠকে আলোচনা হবে মোদি-হাসিনার মধ্যে।


উল্লেখ্য, প্রথমবার একসঙ্গে সামরিক মহড়া করতে চলেছে চিন ও বাংলাদেশ। এবার সামরিক ক্ষেত্রেও ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে উদ্যোগী হয়েছে বেজিং। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে ঢাকায় আনাগোনা বেড়েছে চিনা আধিকারিকদের। ফলে বন্ধুদেশের উপর কতটা প্রভাব বিস্তার করছে ‘ড্রাগন’ সেদিকেই তীক্ষ্ণ নজর রাখছে নয়াদিল্লি। এই আবহে চিনে যাওয়ার আগে দিল্লিতে হাসিনার উপস্থিতি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *