মোঃ অহিদুজ্জামান : ব্রিটেনে আজ শুরু হয়েছে সাধারণ নির্বাচন।একদফায় নির্বাচন হচ্ছে ৬৫০টি আসনের জন্য। আজ ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরেই শুরু হবে গণনা। আজ রাতের মধ্যেই নিশ্চিত হওয়া যাবে, ব্রিটেনে সরকার গঠন করতে চলেছে কোন দল। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক কি ফের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে ফিরতে পারবেন? সেই উত্তর মিলবে আজ ৪ জুলাই রাতে।
ভোটের আগের যাবতীয় সমীক্ষার দাবি, ১৪ বছরের কনজারভেটিভ সরকারের পতন ঘটতে চলেছে সাধারণ নির্বাচনে। গত কয়েকমাসে কনজারভেটিভ পার্টির প্রতি ব্রিটেনের আমজনতার আস্থা প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। একের পর এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ব্রিটিশ রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল করতে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। এহেন পরিস্থিতিতে নির্বাচনে হার অবধারিত বলেই মত দলের একটা বড় অংশের। এমনকি নিজের কেন্দ্র রিচমন্ড থেকে হেরেও যেতে পারেন সুনাক। ১০০ এর কম আসন যেতে পারে কনজারভেটিভদের দখলে।
বিপুল সংখ্যক আসন জিতে সরকার গড়বে লেবার পার্টি, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৪০০ এর বেশি আসন জিততে পারে ব্রিটেনের বর্তমান বিরোধী দল। তবে লেবার পার্টির নেতা কের স্টার্মারের কপালেও চিন্তার ভাঁজ রয়েছে। কারণ অভিবাসী বিরোধিতার জন্য অশ্বেতাঙ্গ ভোটাররা মুখ ফেরাতে পারেন লেবার পার্টির দিক থেকে। পাশাপাশি একাধিক কট্টরপন্থী দলও ভালো ভোট পেতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত। উল্লেখ্য, সবমিলিয়ে নির্বাচনে লড়ছে ৯৮টি দল। মোট ৪৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ব্রিটেনের নির্বাচনী প্রথা অনুযায়ী, ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৩২৬টি জিতলেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে একটি দল। সেই দলের প্রধানই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সরকার গঠন করতে পারে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রথম সুযোগ পাবেন সরকার গঠনের জন্য। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়েছিল ব্রিটেনে। সেবার ৩৬৫টি আসন গিয়েছিল বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভদের দখলে। ২০২টি আসন পেয়েছিল লেবার পার্টি।